কোরআন শিখতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক হেফাজতপন্থি ইমাম

কোরআন শিখতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কিশোরী, আটক হেফাজতপন্থি ইমাম

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের হেফাজতপন্থি ইমাম শফিকুর রহমান (৪২) কে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (০৯ মার্চ) বিকালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অভিযুক্ত ইমামকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আটক শফিকুর রহমান সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার বানী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া মসজিদে ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রমজান মাস উপলক্ষে ওই মসজিদে পবিত্র কোরআন শিক্ষার বিশেষ ক্লাসের আয়োজন করা হয়। সেখানে কোরআন শিখতে আসা এক কিশোরীকে ইমাম শফিকুর রহমান বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করতে শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে যোহরের নামাজের বিরতিতে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে, তিনি কৌশলে কিশোরীকে মসজিদের হুজরা খানায় ডেকে নিয়ে যান। সেখানে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। ভয়ে কিশোরী বিষয়টি গোপন রাখে এবং কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমে যেতে থাকে। কিন্তু শনিবার (৮ মার্চ) ইমাম আবারও তাকে হুজরা খানায় নিয়ে গিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করেন। পরে কিশোরী বিষয়টি পরিবারকে জানালে এলাকাবাসী মিলে ইমামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ ঘটনাটি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।”

এই ঘটনায় স্থানীয় সম্প্রদায়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশিত হয়েছে।

Exit mobile version